
- যুবদল নেতাকে অপহরণ পরে মারধর করার অভিযোগ এনসিপির নেতার বিরুদ্ধে
লোহাগাড়া চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় এনসিপির মূখ্য সমন্নয়ক জহির উদ্দীনের নেতৃত্বে যুবদল নেতা ফারুককে হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে অপহরণ করে মারধর পরে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ফারুকের পরিবার।
৪ ই সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৭ টায় লোহাগাড়া বটতলী স্টেশনে অবস্থিত অভিজাত রেস্টুরেন্ট হালাল ডাইনের হল রুমে উক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
যুবদল নেতা ফারুক লামা উপজেলার আজিজ নগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড পূর্ব চাম্বি এলাকার বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আহত ফারুকের বাবা শহিদ মিয়া, মা পেয়ারা বেগম, বোন সেলিনা আক্তার, ভগনিপতি মো. ইসমাইল ও ছেলে ফয়সাল উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষ লিখিত বক্তব্যে ,ফয়সাল উদ্দীন বলেন, আমার দাদা শহিদ মিয়া লোহাগাড়া ডায়াবেটিস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল তাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমার বাবা ফারুক দুপুর ১২ টায় হাসপাতালে আসলে আমার বাবা ফারুক কে লোহাগাড়া এনসিপির মূখ্য সমন্নয়ক জহির উদ্দীনের নেতৃত্ব হাসপাতালের সামনে থেকে জোরপূর্বক তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে প্রচন্ড মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে পরে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসানোর জন্য ভিডিও করে অনলাইন ছেড়েদে।
এনসিপির মূখ্য পাত্র জহির উদ্দীন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,ফারুক দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ট্যাবলেটের ব্যাবসার সাথে জড়িত আমজনতা থাকে ধরার ১ ঘন্টা পরে আমি এসেছি তার কাছ থেকে ১০ টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে পুলিশ এছাড়াও তার মোবাইলে ইয়াবা সংক্রান্ত লেনদেনের বিভিন্ন প্রমাণ পাওয়া যায়। ৫ ই আগস্টের পর থেকে আমি মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার কারণে এটি আমার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিউটিরত ডাক্তার রুবায়ত বলেন,বিকাল পাঁচ টায় পুলিশ ফারুক নামে এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসে তার শরীরের কন্ডিশন ভাল না হওয়াতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করি।
এ বিষয়ে লোহাগাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।