
লোহাগাড়ায় যুবদল নেতাকে অপহরণ মারধর করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
বেলাল আহমদ,নিজস্ব প্রতিবেদক।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ডায়াবেটিস হাসপাতালের সামনে থেকে আজিজনগর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মো. ফারুক হোসেন (৩৫)কে অপহরণ ও মধ্য যুগীয় কায়দায় পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) লোহাগাড়ায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফারুকের বাবা শহিদ মিয়া এ অভিযোগ করেন। শহিদ মিয়ার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফয়সাল উদ্দিন।
বক্তব্যে বলা হয়, ফারুকের বাবা অসুস্থ থাকায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে বিল পরিশোধ করার পরপরই হাসপাতালের সামনে থেকে তাকে এনসিপি লোহাগাড়ার মুখ্য সমন্বয়কারী জহির উদ্দিনের নেতৃত্বে ৮/১০ জনে তুলে নিয়ে যায় যা হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক য
যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।এরপর নির্জন স্থানে ফারুককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন ও মারধর করা হয় এবং ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর জন্য জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করে ফেসবুকে লাইভ প্রচার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়,কয়েকমাস আগে এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরোধিতা সংক্রান্ত মামলা দায়েরের জের ধরে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অপহরণের পর বিকেল ৩ টা ১৫ মিনিটের দিকে পুলিশ তাকে উপজেলা পোস্ট অফিস সড়ক এলাকা থেকে উদ্ধার করে।
বর্তমানে ফারুক গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।পাশবিক নির্যাতনের ফলে তার পরো শরীর থেতলে গেছে ও তার হাত ভেঙে গেছে। তার পরিবার জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন ছোটবেলা থেকে মোঃ ফারুক শান্তিপ্রিয় ছেলে, সে সিগারেট পর্যন্ত খায় না সেখানে সে কি ভাবে মাদকের সাথে জড়িত থাকবে আমরা এটা কোন ভাবে বিশ্বাস করি না, স্থানীয়রা আরো বলেন তার সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এরা তার সাথে এই ঘটনা ঘটেছে।
মোঃ ফারুক হোসেন লামা উপজেলা আজিজনগর ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড পূর্বচাম্বি গ্রামের বাসিন্দা শহিদ মিয়ার ছেলে।ফারুক হোসেন পূর্বচাম্বি ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত এনসিপির লোহাগাড়া মুখ্য সমন্বয়ক জহির উদ্দিন অপহরণ ও মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি যখন মাদকের বিষয়ে জানতে পেরেছি তখনি পুলিশকে অবহিত করি। রাজনৈতিক ভাবে আমাকে হেয় করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য তিনিও দাবী করেন।
লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমান বলেন, ৯৯৯ কল পাওয়ার পর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।