পারকী সৈকতে অনিয়ম: ব্যবসায়ী নুরুল আনোয়ারের অভিযোগ, উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ দাবি
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পারকী সমুদ্র সৈকত ও নির্মাণাধীন পর্যটন কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে তিনি সৈকতের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে অবহিত হন।
পরিদর্শনকালে স্থানীয় ব্যবসায়ী নুরুল আনোয়ার সৈকতের অব্যবস্থাপনা ও নানা অনিয়ম তুলে ধরেন। তিনি বলেন,
“পারকী সমুদ্র সৈকতের পর্যটন সম্ভাবনা বিরাট। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা ও তদারকির অভাবে এখানে অগোছালো পরিস্থিতি বিরাজ করছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, অবকাঠামো উন্নয়ন কাজে গাফিলতি, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাব, অবৈধ দোকানপাট, এলোমেলো যানবাহন পার্কিং এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ঘাটতির কারণে পর্যটকরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। এর ফলে পরিবেশ দূষণের ঝুঁকিও বাড়ছে।
দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,
“পারকীকে দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্রে রূপ দিতে হলে অনিয়ম বন্ধ করে পরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।”
শুধু অভিযোগ নয়, তিনি সমাধানের দিকনির্দেশনাও দেন—
১. পরিকল্পিত অবকাঠামো উন্নয়ন
২. পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ
৩. পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
৪. অবৈধ দখল উচ্ছেদ।
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি শুধু ব্যবসায়ী নই, একজন সচেতন নাগরিক হিসেবেও দায়িত্ববোধ থেকে কথা বলছি।”
এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা নুরুল আনোয়ারের ভূমিকাকে প্রশংসা করে বলেছেন, এটি দায়িত্বশীল নাগরিকত্বের উদাহরণ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, উদ্যোক্তাদের এ ধরনের উদ্যোগ নীতিনির্ধারকদের ওপর ইতিবাচক চাপ তৈরি করে।
পর্যটকরাও জানিয়েছেন, সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ হলেও অব্যবস্থাপনার কারণে ভ্রমণে বিঘ্ন ঘটে। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, নুরুল আনোয়ারের মতো সচেতন মানুষের দাবিতে সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন,
“স্থানীয় উদ্যোক্তারা আমাদের চোখ খুলে দেন। পারকী সৈকতের উন্নয়নে টেকসই পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই পারকীকে নতুন রূপে সাজানো হবে।”
তিনি অনিয়ম নিরসন ও উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন।